প্রকাশিত: ০৮/০৬/২০১৭ ১০:৫৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫২ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
আন্দামান সাগরে বিধ্বস্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমানের ১৫ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর এসব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

বিমানটিতে শতাধিক আরোহী ছিল। ১০-১২টি শিশুও বিমানটিতে ছিল বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এসব তথ্য জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, উড্ডয়নের ২৯ মিনিট পর দাভেই শহরের ৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে আন্দামান সাগরের আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমানটি ওই সময় ১৮ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিমানে ১০৫ জন থাকার কথা জানালে পরে সেনাবাহিনী জানায়, বিমানে সেনা সদস্য ও তাদের পরিবার মিলিয়ে ১০৬ জন ছিল, ক্রু ছিলেন ১৪ জন। বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর পরপরই অনুসন্ধানে নামে সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ ও বিমানবাহিনীর দুটি বিমান এতে অংশ নিয়েছে। অনুসন্ধানকারীরা আন্দামান সাগরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। মাইয়েকের এক পর্যটন কর্মকর্তা নাইং লিন জ বলেন, ‘তারা (অনুসন্ধানকারীরা) দাভেই শহর থেকে ২১৮ কিলোমিটার দূরে সাগরে বিধ্বস্ত বিমানের টুকরা খুঁজে পেয়েছে। ‘

বিমান নিখোঁজের কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই কিছু বলতে পারছে না। মাইয়েক বিমানবন্দরে কর্মরত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কিয়াও কিয়াও তে জানান, বিমানটি উড্ডয়নের সময় আবহাওয়া ভালো ছিল। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘নিরাপদ উড্ডয়নের ক্ষেত্রে মিয়ানমার বিমানবাহিনীর রেকর্ড খুবই খারাপ। ‘ চীনে তৈরি চার ইঞ্জিনের বিমানটি গত বছর মার্চে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ইতিমধ্যে সেটি ৮০৯ উড্ডয়নঘণ্টা পার করেছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।

পাঠকের মতামত